কলা চাষ পদ্ধতি ও কলা চাষ করে কোটিপতি হবার গল্প

কলা আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। আমাদের দেশে সারাবছরই কলা পাওয়া যায়। খাবার জন্য কাঁচা কলা এবং পাকা কলা খুবই উপকারি। কলার চারা একবার রোপণ করলে ২/৩ মৌসুম চলে যায়। তাছাড়া পুষ্টিকর ফল হিসাবে আমাদের দেশে কলার চাহিদাও অনেক বেশি।

মধুপুর লালমাটি পাহাড়ের পিরোজপুর, চাপাইদ, কাকরাইদ, মমিনপুর, শোলাকুড়ি ও আউশনারাসহ প্রায় ৫০টি গ্রামে কলা আবাদ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ভাগ্য পাল্কেল্ট গেছে। পুরুষের পাশাপাশি মেয়েরাই অংশ নিচ্ছে কলা আবাদে। আর এ আবাদের সুবাদে কাকরাইদ গ্রামের হারুন, জলছত্র গ্রামের আতিকুল, আয়নাল হক, অরণখোলা গ্রামের আকবর আলী, পিরোজপুর গ্রামের মইনুল হক, আউশমারা গ্রামের রাজিব হাসান, হাবিবুলল্গাহ মরিয়ামসহ ৫০টি গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক পরিবারে দারিদ্র্য কমেছে। পরিবারে এসেছে সচ্ছলতার ছোঁয়া। এ এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর কলা আবাদের সাফল্য দেখে আশপাশের গ্রামগুলোতেও চাষীরা এগিয়ে আসছে কলা আবাদে।

কলার পুষ্টিগুণ
কাঁচা ও পাকা কলায় আমিষ, শর্করা, চর্বি, খণিজ লবণ, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ভিটামিন সি রয়েছে।

ভেষজ গুণ
পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কলার থোড় বা মোচা ডায়াবেটিস, আমাশয়, আলসার নিরাময়ে উপকারি।

উপযুক্ত মাটি
প্রায় সব ধরনের জমি বা মাটিতে কলার চাষ করা যায়। তবে উর্বর দোআঁশ মাটি ও পানি জমে না এমন উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উত্তম।

জাত পরিচিতি
আমাদের দেশে অনেক প্রকার কলার জাত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-অমৃত সাগর, সবরী, চাঁপা, মেহের সাগর, বিচিকলা, কাঁচকলা বা আনাজি কলা ইত্যাদি।

জমি তৈরি ও চারা রোপণ
পর্যাপ্ত রস থাকলে প্রায় সব ধরনের জমিতে কলার চাষ করা যায়। কলা চাষের জন্য জমি ভালভাবে গভীর করে ৩/৫ বার চাষ দিতে হবে। দুই মিটার দূরে দূরে ২ ফুট গভীর করে গর্ত তৈরি করে নিতে হবে।

রোপণের সময়
কলার চারা বছরে তিন মৌসুমে রোপণ করা যায়-আশ্বিন-কার্তিক, মাঘ-ফাল্গুন এবং চৈত্র-বৈশাখ।

ফসল সংগ্রহ
চারা রোপণের ১১-১৫ মাসের মধ্যেই কলা সংগ্রহ করা যেতে পারে।

Comments

Popular posts from this blog

Doctor`s list in Rangpur Medical College ===Rangpur medical collage doctor list

Tin Bigha Corridor"=|||="তিনবিঘা করিডর Lalmonirhat divitionRangpur,Bangladseh

Tista Barrage is the Bigest Swicth get in Bangladesh